শ্র্রীপুরে শিশু অপহরণের ঘটনায় মামলা, অপহরণকারী গ্রেপ্তার

ফন্ট সাইজ:
100%

গাজীপুরের শ্রীপুরে (৭) বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে শাশুড়ি তার ছেলের বউ ও বউয়ের ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের শাহিদের স্ত্রী রাহিমা খাতুন (৫২) দু’জনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের নামে শিশু অপহরণ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের শিমুলতলা (ঢালিপাড়া) গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মরিয়ম আকতার হেমা (৩০) এবং ভাই তার ভাই নাজমুল (২৮)। 
মামলার এজাহার সূত্রে  জানা যায়, অপহরণের শিকার শিশুটির নাম রিয়া খান (৭)। ১৫ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাওনা চৌরাস্তা কাজী পাম্প সংলগ্ন একটি শপিংমলে দাদির সঙ্গে কেনাকাটার সময় তার নাতনি হযরত আলী, ইউসুফ মিয়া ও রিয়া খানকে নিয়ে কেনাকাটার সময় অভিযুক্ত মরিয়ম আক্তার হেমা রিয়া খানকে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে আসে। পরে স্থানীয় জনতা  শিশুটিকে  উদ্ধার করে দাদির কাছে ফিরিয়ে দেন। স্থানীয় জনতা উদ্ধারের পর জাতীয় জরুরি সেবা  ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত মরিয়ম আক্তার হেমাকে না পেয়ে আশপাশের দোকানদারদের কাছে অপহরণের ঘটনাটি সত্যতা পায়। এই ঘটনায় পুলিশ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে আসে।  অভিযুক্ত মরিয়ম আক্তার হেমা থানার ভেতরে সাংবাদিকদের জানান আমার স্বামীর সঙ্গে ছয় মাস আগে পারিবারিকভাবে ডিভোর্স হয়। আমার একমাত্র ছেলে হযরত আলী ১৪ তার বাবার বাড়িতে থাকে। হঠাৎ মাওনা চৌরাস্তা আমার শাশুড়ির সঙ্গে ছেলে আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরে। এটি শাশুড়ি দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে কল্পনার মেয়ে রিয়া খানকে দিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। মামাতো ভাই রাতুল জানান, হেমার সঙ্গে তার স্বামীর প্রায় ৬ মাস আগে ডিভোর্স হয়েছে। ডিভোর্সের পর তার একমাত্র ছেলে হযরত আলী (১৪) দাদির সঙ্গে বসবাস করে। ইতিপূর্বে আমার বোনের সঙ্গে তাদের পারিবারিকভাবে একাধিক মামলার বিরোধ ছিল। সকল মামলায় আপস-মীমাংসা হয়ে গেছে। তার রেশ ধরে হয়তো এই অপহরণের ঘটনাটি সাজিয়েছে। অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তাজুল ইসলাম জানান, ১৫ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তারা ৯৯৯ কল করার পর আমরা ওইখানে যাই। যেয়ে আমরা অভিযুক্তকে পাইনি। আমরা আশপাশের লোকজন এবং দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলে লোকজন বলে একটা বাচ্চা নিয়ে টানাহেঁচড়া হয়েছে।  তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় যাচাই-বাছাই করে মামলা নেয়া হয়েছে। কেউ যদি অপহরণের অভিযোগ করে তাহলে আমরা মামলা না নিয়ে পারি না। এ ঘটনায় মরিয়ম আক্তার হেমা গ্রেপ্তার আছেন। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী  আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাসির আহমদ  জানান, অপহরণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। অপহরণকারী মরিয়ম আক্তার হেমা গ্রেপ্তার আছে। তাকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

কোন মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যকারী হোন!

মন্তব্য করুন