বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, নির্বাচন বানচালের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়েছিল। ওসমান হাদির মৃত্যু সংবাদের পর গত রাতে ঢাকায় প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিস, ছায়ানট ভবন, নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবীর ও বিভিন্ন স্থানে সহিংস হামলাসহ দেশব্যাপী সহিংস হামলা- নির্বাচন বানচালসহ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মাস্টারপ্ল্যানের প্রজেক্ট। এই সুযোগে তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের পথে বাধা সৃষ্টি করাও এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য। তিনি গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের দুধকুড়া গ্রামে হাজং সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘দেউলী উৎসব’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমির পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার প্রলয় স্নালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘দেউলী উৎসব’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গবেষক ও লেখক মতি লাল হাজং, হাজং সমিতির সভাপতি পল্টন হাজং, হালুয়াঘাট ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সুব্রত রেমা, গাঁওবুড়া (গ্রাম প্রধান) নরেশ চন্দ্র রায়, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীর, সাবেক চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পতনের পর পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী ও দেশে উত্থান হওয়া উগ্রবাদী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। তারা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া হাউজে আক্রমণ চালিয়ে বহির্বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ উগ্রবাদীদের কবলে চলে গেছে। দেশবাসীকে বোঝাতে চায়, দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নাই। তিনি বলেন, শুধু মিডিয়া হাউজ নয়, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, মাজার, সাংস্কৃতিক উৎসবে বাধা প্রদান করে তারা উদারনৈতিক রাষ্ট্রীয় চরিত্রকে পাল্টে দিতে চায়। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত এই দেউলী উৎসবে ধোবাউড়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহ থেকে হাজং নর-নারী, শিশু, যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বাঙালি জনগোষ্ঠীর ব্যাপক অংশগ্রহণে উৎসবটি পরিণত হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সামাজিক ঐক্যের এক অনন্য মিলনমেলায়। দিনব্যাপী উৎসব আয়োজনে হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, সংগীত, লোকগান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল বিশেষ আকর্ষণ।
