ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। তা নাহলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার হাদিকে কবরে শায়িত করার পর সংগঠনটির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের এ ঘোষণা দেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে দাফনের পর ক্ষোভে ফুসে ওঠে শাহবাগ চত্ত্বর। শিক্ষার্থী ছাত্র জনতা শাহবাগে জড়ো হয়। এর পর তুমি কে? আমি কে? হাদি হাদি, দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, গোলামী না আজাদি, আজাদি আজাদি, আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো- এসব স্লোগানে প্রকম্পিত করে তুলেন শাহবাগ চত্ত্বর।
এসময় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের সরকারকে উদ্দ্যেশ করে বলেন, এই মুহূর্তে সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা দিলে আপনারা টিকবেন না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার না করলে জনগণকে আমরা আর থামিয়ে রাখবো না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাদিকে যারা খুন করেছে, এ খুনের পরিকল্পনা ও সহযোগিতা করেছে তাদের প্রত্যেককে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে যথাযথ জবাব দিতে হবে। তা নাহলে শিক্ষার্থী জনতাকে নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করবো। টকশোতে যারা খুনিদের পক্ষে কথা বলবে তাদের সঙ্গে আমরা নেই।
গুরুতর অভিযোগ করে জাবের বলেন, হাদির জানাজার পরে পুরো প্রশাসন এমন ব্যবস্থা করেছে যেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীদেরকে মেরে ফেলা যায়। ওসমান হাদির লাশবহনকারী গাড়ির পাশে রহস্যজনক লোকেরা দৌড়ে গেছে, আমরা তাদেরকে চিনি না। প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে খেলছে।
তিনি আরও বলেন, আজ পর্যন্ত কোনো নেতা এমন দলমত নির্বিশেষে মানুষের ভালোবাসা পায়নি। আমরা ওসমান হাদির রক্তের বদলা নিতে এসেছি। এই বাংলাদেশ কীভাবে চলবে, তা এখানকার জনগণ ঠিক করবে। ওসমান হাদিকে একজন খুন করেনি, এর পেছনে একটি চক্র রয়েছে। বিগত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি গোয়েন্দা সংস্থা কেউ মাটির ১৫ ফিট গভীরে লুকিয়ে থাকলেও তাকে গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু এখন তারা গাছাড়া ভাব নিয়ে বসে আছে। এসময় তিনি সেনা বাহিনীর ইন্টিলিজিন্সের মধ্যে আওয়ামী কর্মকর্তা রয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন, এসব কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। না হলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাবে না।
