বিশ্বকাপের আগে আরব কাপের শিরোপা মরক্কোর

বিশ্বকাপের আগে আরব কাপের শিরোপা মরক্কোর

ফন্ট সাইজ:
100%

আরব কাপের ফাইনালে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মরক্কো। ২০ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় জর্ডান। নির্ধারিত সময়ের মিনিট তিনেক আগে আব্দেরাজ্জাক হামাদাল্লাহর গোলে সমতায় ফেরে মরক্কো। অতিরিক্ত সময়ে বদলি হিসেবে নামা হামাদাল্লাহর গোলেই শিরোপা নিশ্চিত হয় মরক্কোর। তিন বছর আগে যেই স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা তুলে ধরেছিল, সেই লুসাইল স্টেডিয়ামে এবার আরব কাপ শিরোপা নিজেদের করে নিলো মরক্কানরা। সেই সঙ্গে আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপে একই গ্রুপে থাকা ব্রাজিল, স্কটল্যান্ড ও হাইতিকে শক্ত বার্তা দিয়ে রাখলো তারা।

ম্যাচের পর সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মরক্কো কোচ তারিক সেকতিউই বলেন, ‘প্রস্তুতির জন্য স্বল্প সময় পেলেও, খেলোয়াড়রা অসাধারণ নিষ্ঠার সঙ্গে পরিশ্রম করেছে এবং প্রথমদিন স্পষ্টভাবে জানতো যে, তারা কী অর্জন করতে চায়।’ ৪৮ বছর বয়সী তারিক আরও বলেন, ‘দলের ভেতরের মনোবল ও ঐক্য অতুলনীয় ছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব, গাম্ভীর্য এবং জাতীয় জার্সির প্রতি সম্মান, এগুলোই প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত দক্ষতার চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে মরক্কান বস বলেন, ‘আমাদের সমর্থকরাই বিশ্বের সেরা। আজ আপনারা দেখেছেন, তারা কীভাবে উপস্থিত ছিলেন এবং পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আমাদের কীভাবে সমর্থন দিয়েছেন।’ পুরো ম্যাচে ৫৭ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখা মরক্কো চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায়। দূরপাল্লার শটে লক্ষ্যভেদ করেন ওসামা তান্নানে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের মধ্যে এক গোলের লিডেই বিরতিতে যায় মরক্কো। মাঠে ফিরে তিন মিনিটের মধ্যে হেড থেকে জর্ডানকে সমতায় ফেরান আলি ওলওয়ান। হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি পায় জর্ডান। ৬৮তম মিনিটে সফল স্পটকিকে জর্ডানকে এগিয়ে নেন ওলওয়ানই। ৮৭তম মিনিটে মরক্কোকে সমতায় ফেরান ৭২তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা হামাদাল্লাহ। এই গোলের সময় অফসাইডের দাবি তোলে জর্ডান খেলোয়াড়রা। তবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিতে (ভিএআর) চেক করে গোল অব্যাহত রাখেন রেফারি। যোগ করা অষ্টম মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণের পর দলকে হতাশ করেন জর্ডানের ওলওয়ান। গোলকিপারকে একা পেয়েও তার বরাবরই শট চালান তিনি। সেই সুবাদে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। খেলা শুরুর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জালে বল জড়ান জর্ডানের আবু তাহা। তবে হ্যান্ডবলের জন্য বাতিল হয় সেটি। ম্যাচের ১০০তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন আল শাবাবের হামাদাল্লাহ। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই আরব কাপে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপার উল্লাসে মাতে মরক্কো। এর আগে ২০১২তে প্রথমবার ফাইনালে খেলেই শিরোপা জেতে তারা।

কোন মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যকারী হোন!

মন্তব্য করুন